ঘোষিত ২০ সদস্যের স্কোয়াডের ওপর আস্থা রেখে ঘরের আসরের সাথে নিজেদের দলকে নিয়ে চ্যালেঞ্জ নিতেচান প্রধান কোচ জেমি ডে। এশিয়ান গেমসে ভালো খেলা তারুণ্যনির্ভর দলটির পাশাপাশি দল ঘোষণায় অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিয়েছেন কোচ।
সাফ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য জামাল ভূঁইয়ার। তিনি বলেছেন আমি মনে করি আপনারা বাংলাদেশের সেরাটাই দেখবেন, ইনশাআল্লাহ আমরা চ্যাম্পিয়ন হব।
সাফ টুর্নামেন্টের শিরোপা উন্মোচন অনুষ্ঠানে জামাল ভূঁইয়া বলেন, এশিয়ান গেমসে ভালোভাবে খেলেছি, দলের খেলোয়াড়দের ফিটনেস এখনো ভালো, আমি জানি শ্রীলংকার সঙ্গে ম্যাচের ফলাফলে আপনারা হতাশ, কিন্তু তা ভুলে যান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এবং স্বাগতিক বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দলের কোচ ও অধিনায়ক। তৃতীয় বারের মতো বাংলাদেশে বসতে যাচ্ছে সাফের এই আয়োজন। ৪ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর শেষ হবে দক্ষিন এশিয়ার ফুটবলের সবচেয়ে বড় আয়োজন। বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলবে ভুটানের বিপক্ষে।
সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে এমনটাই জানিয়েছেন জামাল। রবিবার তেজগাঁও উত্তরা মটরস এর কার্যালযয়ে জমকালো অনুষ্ঠানে উন্মোচিত করা হয় ৭ জাতি টুর্নামেন্টের এই ট্রফি।
কোচ জেমি ডে একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমাদের দলে কোয়ালিটি আছে কিন্তু এটা সত্যি অন্যদের তুলনায় আমরা পিছিয়ে আছি। ৭ জাতি টুর্ণামেন্টে আয়োজক বাংলাদেশ ঘরের আসরে প্রত্যাশাটা মেটানোর দায় চেপে আছে তাদের উপর। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে কাদের নিয়ে বাজি ধরবেন প্রধান কোচ সেই ছক পরিষ্কার করে ফেলেছেন এরইমধ্যে। যেখানে মামুনুল হকের মতো অভিজ্ঞ ফুটবলারদের জায়গা হয়েছে। সমালোচনা থাকলেও টিকে গেছেন গোলরক্ষক শহীদুল আলম। আর বাদ পড়ে গেছেন তরুণ উইঙ্গার জাফর। আর রয়েছেন মতিন মিয়ার মতো খেলোয়াড়।
তিনি আরো বলেন সাত জন অভিজ্ঞ ফুটবলারদের কে দলে রেখেছি আমি, এশিয়ান গেমসের ১১ জন আছে তাদের সাথে। প্রতিটি ফুটবলারদের জন্য সমান সুযোগ রাখতে চেয়েছি আমি। সাফের মতো আসরে অভিজ্ঞতাকে এড়ানো যায় না। তারা তরুণদের সাহায্য করবে বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশের খেলা বলে সবাই শিরোপা জেতার আশা করবে। আমার দলে কোয়ালিটি আছে কিন্তু এটাও সত্যি অন্যদের তুলনায় আমরা পিছিয়ে আছি।
প্রধান কোচ নিজ খেলোয়াড়দের উপর আস্থা রাখলেও দেশের ফুটবল বিশ্লেষকদের চোখে এখনও এই দলে স্কোরিং সমস্যা প্রকট হয়ে ধরা দিচ্ছে। কেরালায় আগের সাফ দলের দায়িত্বে থাকা কোচের মতামত অনেকটা এমনই।

সাবেক কোচ কামরুলহক বলেন আমাদের টার্গেট দেশের মাটিতে যেহেতু চ্যাম্পিয়ন হতে হবে সেহেতু এই প্রেসারটি খেলোয়াড়দেরই বহন করতে হবে।
সাবেক কোচ সাইফুল বারী টিটু বলেন স্কোরিং কাওরার অ্যাবিলিটি টা আমাদের পেছনে ফেলে দিচ্ছে। আমরা যদি গোল করতে পারি তাহলে পয়েন্ট পাওয়া সহজ হবে। কেবল স্ট্রাইকারদের ওপর নির্ভর না করে মিড ফিল্ডারদের ওপর ভরসা রাখা যায়, অনেক তরুণ আছে যারা নিয়মিত গোল করে।
এই সাফ টুর্নামেন্ট দিয়ে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন ফুটবলারের এই অঞ্চলের শীর্ষ টুনামেন্টে অভিষেক হচ্ছে, তাই অবশ্যই এর প্রতিদান দিতে তারা মরিয়া।
আতিকুর রহমান সাহেব বলেন আমি আমার দিক থেকে শতভাগ দিব যাতে দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারি। শীরোপা অর্জন করতে চাই যেটা আমাদের ১৬ কোটি মানুষের জন্য দরকার।
আগামী ৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ এবং ভুটানের ম্যাচ দিয়ে সাফ ফুটবল টুর্নামেন্টের পর্দা উন্মোচন হচ্ছে।