গত বিস্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দল, চার বারের ফুটবল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলটি রাশিয়ায় তাদের প্রথম ম্যাচে হোঁচট খেল। হ্যা, জার্মানির কথাই বলা হচ্ছে যারা তাদের গ্রুপ পর্বের ্প্রথম ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষে হেরে গিয়েছে। খেলা দেখার পর কোন ফুটবল প্রেমী অস্বীকার করতে পারবে না যে ইহা একটি অঘটন ছিল। এমনকি জার্মান ফুটবল প্রেমীও না।
ম্যাচের শুরু থেকেই মেক্সিকো সমান তালে তাদের পায়ের কারুকার্য প্রদ্রর্শ্অন করতে থাকে। তারা আমাদের উপলব্ধিই করতে দেয় নাই যে আজ তারা ম্যাচ হারবে। কারণ তারা পুরো ম্যাচেই জার্মানদের সাথে সমানে সমানে টক্কর দিয়েছে।

ইতিহাস বলে মেক্সিকো কোন ফিফা বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ কখনোই হারে নি। এই জয়ও তাদের জার্মানির বিপক্ষে ফিফা বিশ্বকাপের প্রথম জয়। এটি আরো লক্ষ্যণীয় যে তারা জার্মানির বিপক্ষে ফিফা বিশ্বকাপগুলোতে সর্বমোট ৪ বার খেলেছে।
শুরু থেকেই উভয় দলই এ্যাটাকিং ফুটবল খেলছিল। এটি উপলব্ধিই হচ্ছিল না যে মেক্সিকো ফুটবল র্যাংকিং এ ১৫তম দল।
দূর-পাল্লার শটগুলো গোলকিপারদের বোকা বানানোর জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল না। কিন্তু ৩৫তম মিনিটে লোজানো সেটিকেই সম্ভব করে দেখাল। হারনান্দেজ বায়ে লোজানোর সামনের দিকে বল পাস করল। লোজানো বল থেকে অনেক দূরে ছিল। সে দৌড়ে এসে বল রিসিভ করল। এরপর সে একটি নিচু শট নিল এবাং অবশেষে মেক্সিকো গোল করল।

এর মিনিট তিনেক পরেই জার্মানি স্কোরকে সমতা করার জন্য সু্যোগ পেয়েছিল । কিন্তু ক্রজের শটটি মেক্সিকোর গোল্কিপার দ্বারা পরাস্ত হল। এই শটটি ছিল ম্যাচের দৃষ্টিনন্দন কয়েকটি শটের মধ্যে একটি।
উভয় দলই পরবর্তিতে গোল করার জন্য অনেক সু্যোগ পেয়েছিল কিন্তু কেউই সেই সুযোগের সদ্ব্যবভার করতে পারে নি। মেক্সিকো ৬৩ মিনিটে এবনহ জার্মানি ৬৫ মিনিটে একটি করে সু্যোগ পেয়েছিল। ৮৮তম মিনিটে ব্র্যন্ডট যখন বল ক্রস করল কিন্তু গোমেজ বল থেকে একটু দূরে ছিল।
মজার ঘটনা তখনই ঘটল যখন ম্যানুয়েল ন্যূয়ের অতিরিক্ত সময়ে মেক্সিকোর ডি-বক্সে চলে আসে। কিন্তু আফসোস! তার এই আসাও জার্মানিকে হারা থেকে বাঁচাতে পারল না।

এই ম্যাচে সবথেকে বেশি বল দখল, শটের প্রচেষ্টা জার্মানির দখলেই ছিল। সর্বোপরি আমরা একটি এ্যাটাকিং খেলাই উপভোগ করেছি যা আমরা জার্মানি সম্পর্কে জানি। কিন্তু তারা তাদের শেষ চালকে বাস্তবায়ন করতে পারে নাই। গত খেলায় তাদের একজন ফিনিশারের প্রয়োজন ছিল। মাঝে মাঝে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসও যম হয়ে যায় । কিন্তু মেক্সিকোর জন্য কি ম্যাচই না ছিল! ইতিহাস তাদের সর্বদা স্মরণ করবে।