বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এ পর্যন্ত ১১১ টি টেস্ট ম্যাচে খেলে ১২ টি ম্যাচ জিতেছে। যদিও, এই পরিসংখ্যানটি আরও ভালো হতে পারতো, তবে হতাশ হওয়ার কিছুই নেই। আমরা এর মধ্যে থেকেই বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট এর সেরাটি ম্যাচ গুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি আজ। আর এই শেষ পর্বে আমরা আমাদের তালিকার প্রথম তিন ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করবো।
#৩ শ্রীলঙ্কা বনাম বাংলাদেশ, কলম্বো, ২০১৭
এই বিশেষ ম্যাচটি শুরুর আগে বাংলাদেশ ১-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে পিছিয়ে ছিল। তাই টেস্ট সিরিজ টি ড্র করতে বাংলাদেশের কাছে জয়ের কোন বিকল্প ছিল না। আর এটি ছিল বাংলাদেশের ১০০তম টেস্ট ম্যাচ।

শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমালের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে স্কোর বোর্ডে ৩৩৮ রান তোলে। জবাবে বাংলাদেশের পুরো ব্যাটিং ইউনিটের আত্ন প্রত্যয়ী ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে ৪৬৭ রানের বিশাল সংগ্রহ দাড় করায়। এরপর শ্রীলংকার দ্বিতীয় ইনিংসে ৩১৯ রান করে। শেষ ইনিংসে বাংলাদেশের লক্ষ্য গিয়ে দাঁড়ায় ১৯১ রান। বাংলাদেশ শেষ ইনিংসে বেশ বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং করে মাত্র ৬ উইকেট হারিয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়।
#২ বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড, মিরপুর, ২০১৬
সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাত্র 22 রানের ব্যবধানে হেরে যাওয়ার পর, বাংলাদেশ শক্তিশালী ইংলিশ টেস্ট দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ভাল ফলাফল ই আশা করছিল।
ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ২২০ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ২৪৪ রান করতে সক্ষম হয়। পরে, বাংলাদেশ তাঁদের দ্বিতীয় ইনিংসে যথেষ্ট সাবধানী ব্যাটিং করে ২৯৬ রান করে। আর এতে শেষ ইনিংসে ইংল্যান্ডের টার্গেট গিয়ে দাঁড়ায় ২৭৩ রান, যা তাদের কাছে সত্যিই কঠিন বলে মনে হয়েছিল।

শেষ পর্যন্ত, ভারসাম্যপূর্ণ ইংলিশ দল লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছিও যেতে পারেনি এবং শেষ ইনিংসে মাত্র ১৬৪ রানেই অলআউট হয়ে যায়। প্রকৃতপক্ষে, টিন এজার মেহেদি মিরাজ ১৫৯ রানে ১২ উইকেট নিয়ে একাই ইংলিশদের ব্যাটিং লাইনআপ ধ্বংস করে দেন।
#১ বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া, মিরপুর, ২০১৭
নিঃসন্দেহে, এটি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়।
বাংলাদেশ তাঁদের প্রথম ইনিংসে ২৬০ রানের মোটামুটি এক সংগ্রহ দাড় করায়। মোটামুটি বলার কারন হল, এমন একটি স্পিনিং ট্রাকে খেলা হচ্ছিল যা কিনা ম্যাচের প্রথম দিন থেকেই স্পিনারদের টার্ন আর বাউন্স উপহার দিচ্ছিল দিয়েছিল। এরপর বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে জবাবে অস্ট্রেলিয়া মাত্র ২১৭ রানে অল আউট হয়ে যায়। ব্যাটিং এ ৮৩ রানের ইনিংসের পাশাপাশি বোলিংয়েও ৫ উইকেট নেন সাকিব আল হাসান।
যাইহোক, ডেভিড ওয়ার্নার একটি চমৎকার সেঞ্চুরি হাকিয়ে স্টিভ স্মিথকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে সেই অতি আশা জাগানিয়া ম্যাচ টা প্রায় ছিনিয়েই নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বিশ্বের ১ নম্বর অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এর মাথায় ঘুরছিল ভিন্ন কিছু।
